কেন এই হ্যাকাথন?

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এবং UNDP এর সহায়তাপুষ্ট A2i-aspire to innovate প্রোগ্রাম এর একটি বিশেষ উদ্যোগ/সেবা হচ্ছে জাতীয় তথ্য বাতায়ন ফ্রেমওয়ার্ক (www.bangladesh.gov.bd)। জাতীয় তথ্য বাতায়ন ব্যবস্থাপনা একটি ই-আর্কিটেকচার যেখানে নাগরিক বান্ধব ফ্রেমওয়ার্ক ডিজাইন এবং প্রয়োগ করা হয়েছে। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করা যা নাগরিকদের ই-সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়, খরচ এবং ভোগান্তি লাঘব করা এই উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য। অধিকন্তু সরকারি তথ্য ও সেবা গ্রহণ এর পথকে আরও সুগম এবং সহজতর করার একটি অন্যতম মাধ্যম জাতীয় তথ্য বাতায়ন ফ্রেমওয়ার্ক। শুধমাত্র একটি ওয়েব এড্রেস bangladesh.gov.bd এর মাধ্যমে দেশের ৫২০০০+ সরকারি অফিসের তথ্য ও সেবা গ্রহণ করা সম্ভব।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের "জাতীয় তথ্য বাতায়ন ফ্রেমওয়ার্ক" এর বিস্তারিত তথ্য নিম্নরূপ:

  • দেশের সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়সহ ৩৩ হাজারের অধিক সরকারি দপ্তরের ওয়েব সাইটের একটি সমন্বিত রূপ।
  • জাতীয় তথ্য বাতায়ন ফ্রেমওয়ার্ক মে ২০২২ সাল পর্যন্ত কার্যত ৫২০০০+ সরকারি অফিসকে একই সুষম সেতুবন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
  • বর্তমান ভার্সন ৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে চালু করা হলেও প্রাথমিক সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালে ।
  • জাতীয় তথ্য বাতায়ন এর মাধ্যমে দেশের সম্মানিত নাগরিকগণের সরকার প্রদত্ত সকল সেবা ও সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রাপ্ত হন।
  • এই ওয়েব পোর্টালটি সরকার এবং নাগরিকদের মধ্যে আন্তরিক সেতুবন্ধন হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • সেবা প্রাপ্তির জন্য জাতীয় তথ্য বাতায়ন ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। জাতীয় তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে দেশের সকল মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ৮১৬ টি ডিজিটাল সেবা একই প্লাটফর্মে আনা সম্ভব হয়েছে। এই পরিসেবাগুলো ৭৩ টি সংস্থার এবং ২২ টি গ্রুপে শ্রেণীবদ্ধ।
  • প্রতি মাসে ৩০ মিলিয়ন এর বেশি ভিজিটর, ১০.২ মিলিয়ন এর বেশি কনটেন্ট রয়েছে।
  • এছাড়া কন্টেন্ট আপডেট করার জন্য ৭২,৯৭০ জন সরকারি অফিশিয়াল, ১,০০০ উদ্ভাবনী দল কে ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি অফিস নিজেরা নিজেদের বিদ্যমান লোকবলের মাধ্যমে তাদের সাইট পরিচালনা করে থাকেন।
  • তথ্য প্রযুক্তির সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে জাতীয় তথ্য বাতায়নের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সাইটের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
  • বর্তমানে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডিজিটাল সেবাগুলো আরও সহজলভ্য করার জন্য মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় তথ্য বাতায়ন কে আরও ব্যবহারবান্ধব করা হয়েছে।